বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা
বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মূলত তিনটি প্রধান ধারা নিয়ে গঠিত:
1. সাধারণ শিক্ষা
2. মাদ্রাসা শিক্ষা
3. প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা
১. সাধারণ শিক্ষা
এই ধারায় প্রাথমিক (১ম–৫ম শ্রেণি), মাধ্যমিক (৬ষ্ঠ–১০ম শ্রেণি), উচ্চ মাধ্যমিক (১১–১২শ শ্রেণি) এবং উচ্চশিক্ষা (বিশ্ববিদ্যালয় স্তর) অন্তর্ভুক্ত।
প্রাথমিক শিক্ষা সরকার কর্তৃক বিনামূল্যে ও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় বিভক্ত হয়।
উচ্চশিক্ষা সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রদান করা হয়।
২. মাদ্রাসা শিক্ষা
মাদ্রাসা শিক্ষায় ধর্মীয় ও আধুনিক শিক্ষা মিলিতভাবে প্রদান করা হয়।
দুটি ধারা রয়েছে: কওমি মাদ্রাসা (ঐতিহ্যভিত্তিক) ও আলিয়া মাদ্রাসা (সরকার স্বীকৃত)।
আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা সাধারণ ধারার মতোই প্রাথমিক থেকে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করতে পারে।
৩. প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষা
আধুনিক শ্রমবাজার ও শিল্পোন্নয়নের জন্য সরকার প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষাকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে।
এখানে ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষি, চিকিৎসা ও কারিগরি শিক্ষার নানা কোর্স রয়েছে।
টেকনিক্যাল স্কুল ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো এ শিক্ষায় প্রধান ভূমিকা পালন করছে।
---
চ্যালেঞ্জসমূহ
মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা
শহর ও গ্রামের মধ্যে শিক্ষার বৈষম্য
দক্ষ জনশক্তি তৈরি
বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে শিক্ষা ব্যবস্থার কার্যকারিতা
ইতিবাচক দিক
প্রাথমিক শিক্ষায় ভর্তি হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নারীশিক্ষায় অগ্রগতি হয়েছে।
সরকারি ও বেসরকারি উভয় পর্যায়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
📌 সারসংক্ষেপে, বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে মানসম্মত শিক্ষা, দক্ষতা উন্নয়ন ও গবেষণামুখী শিক্ষা নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি।